রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪১ অপরাহ্ন
ক্রীড়া নিউজঃ দুই বাঁহাতির লড়াই। খুলনার জুনায়েদ, কুমিল্লার তামিম। দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেওয়ার পর দুজনই ইনিংস মেরামত করেছেন। দুজনই করেছেন ৭০’র ঘরে রান। তাদের ব্যাটে রান উৎসব হয়েছে। কিন্তু শেষ হাসিটা হাসতে পেরেছেন তামিম ইকবাল।খুলনাকে ৩ উইকেটে হারিয়ে ষষ্ঠ ম্যাচে চতুর্থ জয়ের স্বাদ পেল কুমিল্লা। আর আগের ম্যাচে জয়ের খাতা খোলা খুলনা পেল আরেকটি পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ। আগে ব্যাটিং করে ৭ উইকেটে ১৮১ রান করেছিল খুলনা। জবাবে শেষ ওভারে ২ বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়ে কুমিল্লা।
তামিমের ৪২ বলে ৭৩ রানের ইনিংসের পরও জয় পেতে ঘাম ঝরাতে হয় কুমিল্লার। মিডল অর্ডারে ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং ব্যর্থতায় ম্যাচ শেষ পর্যন্ত টেনে নেয় তারা। অপরদিকে খুলনার বোলিং ও ফিল্ডিং ছিল দারুণ। তাদের দারুণ লড়াইয়ে শেষ ওভারে জয়ের জন্য ৮ রান লাগত কুমিল্লার। প্রথম বল ওয়াইডে এক রান পায় তারা। পরের বল ডট। দ্বিতীয় বলে এক রান নেন সাইফউদ্দিন। পরের দুই বলে চার, ছক্কা মেরে কুমিল্লার জয় নিশ্চিত করেন পেরেরা।কুমিল্লার ব্যাটিংয়ের শুরুটা ছিল অসাধারণ। উদ্বোধনী জুটিতে তামিম ও এনামুল গড়েন ১১৫ রানের জুটি, যা এবারের বিপিএলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এনামুলের থেকে আগ্রাসী ব্যাটিং করে তামিম ২২ গজকে রান স্বর্গ বানিয়ে তোলেন। ২৮ বলে তুলে নেন এবারের বিপিএলের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি।ধারাবাহিক ব্যাটিংয়ে লক্ষ্যের পথে এগিয়ে যান দ্রুত। কিন্তু তাকে ফিরিয়ে ১৩তম ওভারে মালিঙ্গা খুলনাকে প্রথম উইকেটের স্বাদ দেন। ১২ চার ও ১ ছক্কায় তামিম সাজান ৭৩ রানের ইনিংসটি। এনামুল ৩৭ বলে ৪০ রান করে ফেরেন মাহমুদউল্লাহর বলে। এরপর ব্যাটিংয়ে ছন্দপতন। শামসুর রহমান (১), ইমরুল কায়েস (১১ বলে ২৮), লিয়াম ডসন (৪), শহীদ আফ্রিদি (১২) ও জিয়াউর (০) সাজঘরে ফিরলে কুমিল্লা শিবিরে অস্থিরতা ছড়ায়। সেখান থেকে জয়ের ক্যানভাসে তুলির শেষ আঁচড় দেন থিসারা পেরেরা। ৭ বলে ১৮ রানে অপরাজিত থাকেন লঙ্কান পেস অলরাউন্ডার। এর আগে ধারাবাহিকতার প্রতিমূর্তি হয়ে ওঠা জুনায়েদের বিধ্বংসী এক ইনিংসে ভর করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে ৬ উইকেটে ১৮১ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে খুলনা।টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় খুলনা। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের করা ইনিংসের প্রথম ওভারেই শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন জহুরুল ইসলাম অমি। দ্বিতীয় উইকেটে আল আমিনকে নিয়ে ৭১ রানের জুটিতে সে ধাক্কা কাটিয়ে উঠেন জুনায়েদ।১৯ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় আল আমিনও খেলেন ৩২ রানের এক ঝড়ো ইনিংস। তাকে বোল্ড করেন শহীদ আফ্রিদি। পরের ওভারে এসে ভয়ংকর হয়ে উঠতে থাকা মাহমুদউল্লাহকেও (৯ বলে ২ ছক্কায় ১৬ রান) একইভাবে বোল্ড করেন পাকিস্তানি অলরাউন্ডার।তারপরও দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন জুনায়েদ। ১৬তম ওভারে এসে দুর্ভাগ্যজনক রানআউটে কাটা পড়েন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। ৪১ বলে ৪টি করে চার ছক্কায় ৭০ রান করেন তিনি। এরপর ডেভিড মালানের ২৫ বলে ২৯ আর আরিফুল হকের ৯ বলে ১ ছক্কায় গড়া ১৩ রানের ছোট দুই ইনিংসে ১৮১ পর্যন্ত যেতে পেরেছে খুলনা।শহীদ আফ্রিদি ৪ ওভারে ৩ উইকেট নিলেও খরচ করেছেন ৩৫ রান। ২ উইকেট নেয়া ওয়াহাব রিয়াজেরও খরচা ৩৪ রান।